দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
  • Login
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
অন্যান্যআন্তর্জাতিকজীবনযাপননগরবাণিজ্যবিশ্বমতামতমতামতরাজনীতিশিক্ষা

বিদেশিদের নজর নির্বাচনের দিকে

by admin June 24, 2025
written by admin
  • লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোঁজখবর বেড়েছে বিভিন্ন দেশের।
  • পরিস্থিতি জানতে-বুঝতে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায় কাজ করে যাওয়া বিদেশিদের।
  • অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা চায় সব দেশ।

লন্ডন বৈঠকের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশও বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। তাই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নজরও নির্বাচনকেন্দ্রিক। তাঁরা সরকারের উপদেষ্টা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জানার-বোঝার চেষ্টা করছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। সরকার আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বললেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানায়। নির্বাচনের সময় নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে মতপার্থক্য প্রকাশ্য হয়।

পরে লন্ডনে ১৩ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে শর্ত সাপেক্ষে আগামী বছর পবিত্র রমজান মাসের আগে (ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ) জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা জানানো হয়। এর পর থেকে আলোচনা হয়ে উঠেছে নির্বাচনকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ তাদের ঢাকার মিশনের মাধ্যমে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছে। বিদেশি কূটনীতিকেরা আগামী নির্বাচনের সময়, ভোট এবং ওই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের ধরন ও নীতি জানতে- বুঝতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। কিছু দেশ ও সংস্থা শুধু স্থানীয় মিশনের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে পরিস্থিতি আগাম ও ঠিকঠাক বুঝতে আগে ঢাকায় কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিদের পাঠাচ্ছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিদেশিরা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা, বাস্তবমুখী নীতি ও তার ধারাবাহিকতা চান। তাই তাঁরা আগামী সরকার নির্বাচনের ওই ভোট কেমন হতে পারে, তা বুঝতে চাইছেন। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের ১৫ বছর প্রায় সব পর্যায়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ব্যাপক প্রভাব ছিল। বর্তমানে ভারতবিরোধী প্রচার থাকায় নির্বাচনের পর সম্ভাব্য নতুন সরকারের বিদেশনীতি কী হতে পারে, তার ধারণা পাওয়ারও চেষ্টা করছেন বিদেশি কূটনীতিকেরা।

কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে গত শনিবার বলেন, ‘বিদেশিদের অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কথা বলছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, নির্বাচন কখন কীভাবে হতে পারে, তা সবাই বুঝতে চায়।’ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীনসহ সবার ভাবনা প্রায় একই রকম। চিন্তার ধরনে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও ভারতও এদের সঙ্গে আছে।

চীন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে বেইজিং ও কুনমিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের বৈঠকের আয়োজন করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে রয়েছে।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক আলাপকালে বলেন, লন্ডন বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে শর্ত সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভেদ দেখা যাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন থেকে ফেরার পর এনসিপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপের উল্লেখ করে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত বলেন, উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা দেখছেন না। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপেও তিনি একই ইঙ্গিত দেন।

সরকারের ভেতরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার বিষয়ে একাধিক নারী উপদেষ্টাসহ অন্তত পাঁচজন উপদেষ্টা ভিন্নমত পোষণ করেন। দুজন মনে করেন, আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন না করলেও তেমন ক্ষতি-বৃদ্ধি হওয়ার কথা নয়।

এদিকে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও আগে স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে আগ্রহ ফেসবুক পোস্টে বলেছেন। এ অবস্থায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, সেটাও বুঝতে চান বিদেশিরা।

ব্যাংকিংয়ের জন্য সুপরিচিত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি নিজ বাসভবনে এক আড্ডায় প্রশ্ন তোলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, কোটি কোটি সমর্থক-ভোটার আছেন। দুর্নীতি ও হত্যার অভিযোগে দলটির কিছু নেতার সাজা ও তাঁরা নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। কিন্তু দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলে ‘নির্দোষ’ নেতাদের কি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ও ব্যালট পেপারে ‘নৌকা’ প্রতীক থাকবে? তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক’ বলতে যদি কোনো দলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকা না থাকা না বোঝায়, তাহলে দলটির কোটি কোটি সমর্থকের মতামত এই নির্বাচনে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে?

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক ১৬ জুন জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন আনা এবং এ-সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডে আমি উদ্বিগ্ন। এটা অন্যায্যভাবে সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমবেত হওয়ার স্বাধীনতাকে সীমিত করবে।’ অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্থবহ অগ্রগতির আহ্বান জানান, যাতে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা যায়।

পূর্ব এশিয়ার একটি প্রভাবশালী দেশের হয়ে ছয় বছর আগে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া এক কূটনীতিক গত সপ্তাহে নীরবে ঢাকা সফর করেন। তিন দিনের ওই সফরে তিনি রাজনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক ও গণমাধ্যমে কর্মরত অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর প্রশ্ন, এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে কেন ফেব্রুয়ারিতে সময় ঘোষণা করা হলো? ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার কোনো প্রভাব কি আগামী নির্বাচনে থাকবে?

ওই কূটনীতিকের দেশ থেকে বাংলাদেশে অবকাঠামো ও শিল্প খাতে ভালো বিনিয়োগ আসে। নিজ দেশের ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলাপের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীলতা দরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসার আগপর্যন্ত অনেকে নতুন বিনিয়োগে রাজি হচ্ছে না।

বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবীর বলেন, বিদেশিরা দেখেছে বাংলাদেশে একটি বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক। কীভাবে এই আকাঙ্ক্ষা পরবর্তী সময়ে জারি রাখা যায়, সেটা তাদের আগ্রহের জায়গা। তাঁর মতে, গণতন্ত্র থাকলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা চালু থাকার সুযোগ তৈরি হয়। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক মানে শুধু দল নয়; রাজনৈতিক পরিচয়, অর্থনৈতিক অবস্থা, ধর্ম ও লিঙ্গনির্বিশেষে ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা হতে হলে নির্বাচনের পাশাপাশি অর্থনীতিকেও চাঙা করতে হবে।

আগামী নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আগ্রহের বিষয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী গতকাল বলেন, সব নির্বাচনেই বিদেশিদের কমবেশি আগ্রহ থাকে। তবে এবার প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। গত ১৫ বছর অনেক দলের সঙ্গে বিদেশিদের যোগাযোগ কম ছিল। এখন ভবিষ্যতে যাঁরা সংসদে যাবেন, সরকার চালাবেন, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব কমানো ও সহজীকরণের অংশ হিসেবে বিদেশিরা যোগাযোগ বাড়িয়েছে।

June 24, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
Newer Posts
Older Posts

Recent Posts

  • বই পড়ার অভ্যাসে তলানিতে বাংলাদেশ, বছরে পড়ে ৩টিরও কম
  • দুবাইয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন জাদুঘর, ভাসবে পানির ওপর
  • কেন মশা আপনাকেই কামড়ায়
  • পানিশূন্যতা ও হৃদরোগ এড়াতে যে ৫ খাবার খাবেন
  • পূজার সাজে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিলন

Recent Comments

No comments to show.
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Dainik banglar Khantha ২০২৫
Sign In

Keep me signed in until I sign out

Forgot your password?

Password Recovery

A new password will be emailed to you.

Have received a new password? Login here