দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
  • Login
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
জীবনযাপনহাইলাইটস

বই পড়ার অভ্যাসে তলানিতে বাংলাদেশ, বছরে পড়ে ৩টিরও কম

by admin November 1, 2025
written by admin

বই পড়ার অভ্যাসে তলানিতে বাংলাদেশ। গড়পড়তা একজন বাংলাদেশি পুরো বছরে মাত্র ৬২ ঘণ্টা বই পড়েন, সংখ্যার দিক থেকে এর পরিমাণ তিনটিরও কম। এর ফলে বই পড়ার অভ্যাস তথা পাঠাভ্যাস র‌্যাংকিংয়ে একেবারে তলানিতে ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের পাঠাভ্যাস সংক্রান্ত এক জরিপে দেখা গেছে, ১০২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৯৭তম স্থানে।

জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বইপড়ুয়া দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নাগরিকরা বছরে গড়ে ৩৫৭ ঘণ্টা বই পড়েন, অর্থাৎ সপ্তাহে প্রায় সাত ঘণ্টা। খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে ভারত (৩৫২ ঘণ্টা) ও যুক্তরাজ্য (৩৪৩ ঘণ্টা)। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স (৩০৫ ঘণ্টা) এবং ইতালি (২৭৮ ঘণ্টা)।

চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান মাঝামাঝি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতই একমাত্র পাঠাভ্যাসে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ (৬২ ঘণ্টা), পাকিস্তান (৬০ ঘণ্টা) ও আফগানিস্তান (৫৮ ঘণ্টা) বিশ্বের সবচেয়ে কম বইপড়া দেশের তালিকায় জায়গা পেয়েছে।

ফোনের টানে বই ত্যাগ
এক সময়ের সাহিত্যচর্চায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশে আজ বই পড়ার অভ্যাস দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশক ও শিক্ষকদের মতে, পাঠ্যবইয়ের বাইরে পড়ার আগ্রহ প্রায় হারিয়েই গেছে।

খুলনার এক লাইব্রেরিয়ান বলেন, শিশুরা টিকটক আর ফেসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দেয়, কিন্তু বইয়ের সঙ্গে পাঁচ মিনিটও কাটায় না। এমনকি শিক্ষিত পরিবারেও এখন বই রাখা হয় না।

একুশে বইমেলা ও অনলাইন বুকস্টোরগুলো বইয়ের বাজার টিকিয়ে রাখলেও, তথ্য বলছে, পাঠকদের পড়ার অভ্যাস অত্যন্ত অনিয়মিত। বড় শহরের বাইরে গ্রন্থাগার প্রায় নেই বললেই চলে, গ্রামীণ এলাকার বহু শিক্ষার্থী কখনো গল্পের বই হাতে পায় না।

জরিপটি বিশ্বজুড়ে এক স্পষ্ট বিভাজন দেখিয়ে দিচ্ছে, যেখানে একদল মানুষ এখনো বইকে জীবনের অংশ মনে করে, আরেকদল বই ছেড়ে ছোট ভিডিও ও সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে হারিয়ে যাচ্ছে।

যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মানুষ প্রতিদিন প্রায় এক ঘণ্টা বই পড়ে, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ পড়ে গড়ে পাঁচ মিনিটেরও কম।

ঢাকার এক প্রকাশক বলেন, বই পড়া কমে যাওয়া মানে শুধু পাঠাভ্যাস হারানো নয়, এর সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে কল্পনা, সহমর্মিতা আর জ্ঞান। এটি এক ধরনের মানসিক দারিদ্র্য।

গ্লোবাল রিডিং র‍্যাংকিং ২০২৪
বিশ্বজুড়ে পাঠাভ্যাসের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেছে গ্লোবাল রিডিং র‍্যাংকিং ২০২৪। এতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের গড় বার্ষিক বই পড়ার সময় বিবেচনা করা হয়েছে।

জরিপ অনুযায়ী, বই পড়ায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশ হলো- যুক্তরাষ্ট্র (৩৫৭ ঘণ্টা), ভারত (৩৫২ ঘণ্টা), যুক্তরাজ্য (৩৪৩ ঘণ্টা), ফ্রান্স (৩০৫ ঘণ্টা), ইতালি (২৭৮ ঘণ্টা), কানাডা (২৩২ ঘণ্টা), রাশিয়া (২২৩ ঘণ্টা), অস্ট্রেলিয়া (২১৭ ঘণ্টা), স্পেন (১৮৭ ঘণ্টা) ও নেদারল্যান্ডস (১৮২ ঘণ্টা)।

মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড ও তাইওয়ান (১৫৭ ঘণ্টা), সিঙ্গাপুর, বেলজিয়াম ও হংকং (১৫৫ ঘণ্টা)। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের মানুষেরা (মূল ভূখণ্ড) গড়ে ১৫৪ ঘণ্টা বই পড়ে।

জাপানের অবস্থান তুলনামূলক নিচে, তারা বছরে গড়ে মাত্র ১৩৫ ঘণ্টা বই পড়ে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলের নাগরিকরা বছরে ১৩০ থেকে ১২৫ ঘণ্টা সময় দেন বই পড়ায়।

ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায় গড় বই পড়ার সময় ১২৩–১২২ ঘণ্টা। নিউজিল্যান্ড ১১৯ ঘণ্টা; গ্রিস, হাঙ্গেরি ও ইউক্রেন ১১৭ ঘণ্টা এবং স্লোভাকিয়া ১১৬ ঘণ্টা বই পড়ে।

তালিকার নিচের দিকে দেখা যায়, কেনিয়া ১০৮ ঘণ্টা, আর্জেন্টিনা ১০৩ ঘণ্টা এবং ভেনেজুয়েলার মানুষেরা ১০৪ ঘণ্টা বই পড়ে।

আর সবচেয়ে নিচের অংশে রয়েছে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। মরক্কো (৬৭ ঘণ্টা), আলজেরিয়া ও কাজাখস্তান (৬৫ ঘণ্টা), ইরাক (৬৪ ঘণ্টা) এবং বাংলাদেশ (৬২ ঘণ্টা) বই পড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ব্রুনেই সারা বছরে বই পড়ে গড়ে ৬০ ঘণ্টা।

তালিকার একেবারে নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। সেখানে একজন নাগরিক বছরে গড়ে মাত্র ৫৮ ঘণ্টা বই পড়েন।

November 1, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আন্তর্জাতিকজীবনযাপনফোকাস

দুবাইয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন জাদুঘর, ভাসবে পানির ওপর

by admin October 26, 2025
written by admin

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ‘দুবাই মিউজিয়াম অব আর্ট’ (ডুমা) প্রকল্পের নকশা উদ্বোধন করেছেন। আল ফুতাইম গ্রুপের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ প্রকল্প হতে যাচ্ছে দুবাইয়ের নতুন স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন।

‘দুবাই ক্রিক’-এর পানির ওপর গড়ে উঠবে দুবাই মিউজিয়াম অব আর্ট। এটি দুবাইয়ের সৃজনশীল অর্থনীতির বৈশ্বিক রাজধানী হওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এবং শহরটির সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চার ধারাবাহিক বিকাশের প্রতিফলন ঘটাবে। পুরো স্থাপত্য এমনভাবে তৈরি হবে, যা দর্শনার্থীদের দেবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

পাঁচতলা ভাসমান এ জাদুঘরের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় থাকবে প্রদর্শনী গ্যালারি, তৃতীয় তলায় রেস্তোরাঁ ও ভিআইপি লাউঞ্জ। জাদুঘরে থাকবে গ্রাউন্ড ও বেজমেন্ট ফ্লোর। শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর পাশাপাশি জাদুঘরে আয়োজন করা হবে শিল্পী সংলাপ, প্যানেল আলোচনা, শিক্ষা কার্যক্রম ও আর্ট ফেয়ার।

অনন্য এ জাদুঘর নির্মাণের অনুপ্রেরণা এসেছে সমুদ্র ও মুক্তা থেকে, যা দুবাইয়ের ঐতিহ্য ও চেতনার প্রতীক। জাদুঘরের বাঁকা খোলস ঘিরে থাকবে একটি বৃত্তাকার প্রদর্শনী হল। জাদুঘরের মাঝখানে একটি নলাকার খোলা জায়গা থাকবে। সেখান দিয়ে মুক্তার কোমল ঝিলিকের মতো প্রাকৃতিক আলো নেমে আসবে নিচে।
বিশেষভাবে নকশা করা ইভেন্ট স্পেস ও ভিআইপি লাউঞ্জে থাকবে সারা বছর ধরে সাজানো সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। এ কর্মসূচি শেখার, মতবিনিময়ের ও নতুন সৃজনশীল উদ্ভাবনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

অনন্য এ জাদুঘর নির্মাণের অনুপ্রেরণা এসেছে সমুদ্র ও মুক্তা থেকে, যা দুবাইয়ের ঐতিহ্য ও চেতনার প্রতীক। জাদুঘরের বাঁকা খোলস ঘিরে থাকবে একটি বৃত্তাকার প্রদর্শনী হল। জাদুঘরের মাঝখানে একটি নলাকার খোলা জায়গা থাকবে। সেখান দিয়ে মুক্তার কোমল ঝিলিকের মতো প্রাকৃতিক আলো নেমে আসবে নিচে।

বিশ্ববিখ্যাত জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর করা অনন্য এ স্থাপত্যনকশা পর্যালোচনা করেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ। তিনি বলেন, ‘শিল্প ও সংস্কৃতি একটি শহরের প্রাণ। এর মাধ্যমে অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়। এটি শহরের দূরদৃষ্টি ও মানবিকতার গভীরতাও প্রকাশ করে। দুবাই মিউজিয়াম অব আর্ট হবে শহরের নতুন আলোকবর্তিকা। এটি শিল্পচর্চাকে আরও প্রাণবন্ত করবে এবং বৈশ্বিক সংস্কৃতির মানচিত্রে দুবাইয়ের অবস্থান দৃঢ় করবে।’

শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আজকের দুবাই হলো এমন এক গন্তব্য, যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের সৃষ্টিশীল মানুষেরা একত্র হয়ে সৃজনশীল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাচ্ছেন। এ নতুন সাংস্কৃতিক নিদর্শন আমাদের কৌশলগত লক্ষ্যকে এগিয়ে নেবে। আমাদের লক্ষ্য দুবাইকে সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।’

দুবাইয়ের শাসক বলেন, ‘দুবাই মিউজিয়াম অব আর্ট প্রমাণ করছে, কীভাবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব সাহসী ধারণাকে বাস্তবায়িত করে, প্রত্যাশার চেয়েও এগিয়ে গিয়ে বিশ্বমানের নিদর্শন সৃষ্টি করতে পারে। আমরা আল ফুতাইম গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই এ প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দেওয়া ও দুবাইয়ের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য।’

October 26, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাপনস্বাস্থ্যহাইলাইটস

কেন মশা আপনাকেই কামড়ায়

by admin October 4, 2025
written by admin

মশার কামড় খেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে স্বাদের ঘুমটা ভাঙেনি— এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। গরমের দিনে সন্ধ্যা নামতেই মশার ঝাঁক যেন হানা দেয়। ঘরে-বাইরে, পার্কে কিংবা বারবিকিউ পার্টিতে মনে হয়, পুরো মহল্লার সব মশা শুধু আপনাকেই খুঁজছে। এমন মনে হয় না যে পাশে বসা বন্ধুটি নিশ্চিন্তে গল্প করছে আর আপনি চুলকাতে চুলকাতে পাগল হয়ে যাচ্ছেন? মনে তো তখন অবশ্যই প্রশ্ন জাগে, কেন মশা আপনাকে এত কামড় দেয়? কেন বারবার আপনিই মশার বুফেতে পরিণত হন, জানেন কি?

চলুন, খুঁজে বের করি, আপনার প্রতি মশার অগাধ এই ভালোবাসার রহস্য।

কেন আপনি মশার কাছে সুস্বাদু
যেমন আমাদের কারও ভাজাপোড়া পছন্দ, কারও মিষ্টি—তেমনই মশারও খাওয়ার পছন্দ আছে। হাজার হোক, সেও তো একটি প্রাণই। তাকেও তো খেয়ে বাঁচতে হবে, নাকি? মানবজাতির প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার কাছে স্পেশাল ডেলিকেসি। দুর্ভাগ্যবশত, হয়তো আপনিও সেই লিস্টেই পড়ে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, মশা আপনার কোন কোন জিনিসের প্রতি আকর্ষিত হয়ে আপনাকে কামড় দেয়।

ঘাম: আপনি যত বেশি ঘামবেন, মশার কাছে তত বেশি আকর্ষণীয় হবেন। কারণ, আপনার ঘামে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড আর অ্যামোনিয়া; যা মশার কাছে একেবারে লাচ্ছি-ফালুদার মতো প্রিয়! ব্যায়াম করার পর বা গরমে ঘেমে গেলে আপনার রক্ত ত্বকের কাছে চলে আসে। মশার কাছে তখন আপনি একেবারে বাফেট ডিনার!

জিন: ভাগ্য খারাপ হলে জিনগতভাবেই আপনি মশার কাছে অপ্রতিরোধ্য! মানে আপনার দোষ নেই, জেনেটিক কারণেই আপনি মশার কাছে অমৃত খাবার।

কার্বন ডাই-অক্সাইড রাডার: মশার আছে প্রাকৃতিক কার্বন ডাই-অক্সাইড রাডার। আপনি যত বেশি শ্বাস ছাড়বেন, ততই মশা ‘হটস্পট’ লোকেট করে উড়ে আসবে। তাই দৌড়ানো বা জোরে হাঁটার পর মনে হয় যেন মশার ‘বুকিং অফিস’ হয়ে গেলেন!

রক্তের গ্রুপ: মশা ‘ও’ গ্রুপের রক্তকে অন্য যেকোনো গ্রুপের চেয়ে বেশি পছন্দ করে। যদি আপনি ‘ও’ গ্রুপের হন, তবে অভিনন্দন, আপনি মশার ফেবারিট!

গর্ভবতী নারীরা মশার প্রিয়
পুরুষ মশা নিরামিষভোজী হলেও স্ত্রী মশা রক্ত খোঁজে; কারণ, তাদের ডিম উৎপাদনের জন্য প্রোটিন দরকার। অর্থাৎ মশা শুধু রক্তই খায় না, ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিনও চায়। হবু মায়েরা স্ত্রী মশার ডিম উৎপাদনে সাহায্য করে ফেলেন। গর্ভবতী নারীরা যেহেতু বেশি গরম অনুভব করেন আর বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়েন, তাই মশার কাছে তাঁরা আকর্ষণীয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীরা অ-গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি মশার কামড় খান।

পোশাকেও বিপদ
মশা গাঢ় রং খুব ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারে। এই রং আর চলাফেরা মিলিয়ে মশা তার সহজ শিকার নির্ধারণ করে। কালো, লাল, নেভি—এসব গাঢ় রঙের পোশাক পরলে মশা আপনাকে সহজে টার্গেট করতে পারে। তাই গরমের দিনে সাদা, খাকি বা হালকা রং বেছে নিন। অন্য দিকে সাদা, বেইজ আর খাকি কিছুটা ক্যামোফ্লেজ দিতে পারে। ২০১০ সালে থাইল্যান্ডে নারীদের কালো লেগিংস পরা নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল ডেঙ্গুর ঝুঁকির কারণে।

ভুল ভাঙুন, ভাঙা যাক
অনেকে বলেন, রসুন খেলে নাকি মশা দূরে থাকে। তাঁদের জন্য বলে রাখি, রসুন খাওয়ার সঙ্গে মশার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই রসুন খেলে মশা কামড়াবে না—এমন ধারণা থাকাটা ভুল। শুধু তাই নয়, অনেকে ভাবেন, ভিটামিন বি১২ খেলে মশা কামড়ায় না; এটাও আসলে একটি মিথ।

অ্যালার্জির কাহিনি
কিছু মানুষ সত্যিই মশার কামড়ে ভোগেন। তবে এর মানে এই নয় যে তাঁরা বেশি কামড় খান। আসলে তাঁরা কামড়ে বেশি সংবেদনশীল। যখন মশা কামড়ায়, তখন শরীর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। শরীরে ভীষণ লাল গোটা ওঠে। এটা নির্ভর করে কে কতটা হিস্টামিন ছাড়ে, তার ওপর। ফলে ফোসকা ও চুলকানি হয়। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি হিস্টামিন ছাড়ে।

করণীয় কী
ক. হালকা রঙের পোশাক পরুন, খ. রিপেলেন্ট ব্যবহার করুন, গ. বিয়ার এড়িয়ে চলুন, ঘ. ঠান্ডা থাকুন আর কম ঘামুন।

October 4, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাপনফোকাসহাইলাইটস

পানিশূন্যতা ও হৃদরোগ এড়াতে যে ৫ খাবার খাবেন

by admin September 26, 2025
written by admin

হাইড্রেশন মানে কেবল পানির বোতল বহন করা নয়। প্রতিদিনের অনেক খাবার এবং পানীয় প্রাকৃতিকভাবে পানি সমৃদ্ধ। সেগুলো আমাদেরসতেজ রাখার পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ভালো রাখতেও দারুণভাবে কাজ করে। তাই পর্যাপ্ত পানি তো পান করবেনই, তার পাশাপাশি খেতে হবে আরও কিছু খাবার। যেগুলো আপনার শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেট রাখতে কাজ করবে। ফলে শরীর পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে পড়বে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারগুলো এক্ষেত্রে উপকারী-

১. তরমুজ

৯০ শতাংশেরও বেশি পানি দিয়ে তৈরি তরমুজ হলো সবচেয়ে হাইড্রেটিং ফলের মধ্যে একটি। এটি হালকা, শীতল এবং গ্রীষ্মের অন্যতম ফল। সেইসঙ্গে এতে লাইকোপিন রয়েছে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদরোগ দূরে রাখতে কাজ করে। বাজারে যতদিন তরমুজ কিনতে পাওয়া যায়, চেষ্টা করুন নিয়মিত এটি খাওয়ার।

২. কমলা

কমলার মতো লেবু জাতীয় ফল শরীর হাইড্রেট করে এবং ভিটামিন সি-ও সরবরাহ করে, যা রক্তনালীকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। কমলা একটি সহজলভ্য ফল। তাজা কমলার রস (চিনি ছাড়া) সতেজ এবং হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী।

৩. স্ট্রবেরি

এই বেরিতে প্রায় ৯১ শতাংশ পানি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি প্রক্রিয়াজাত মিষ্টির পরিবর্তে যথেষ্ট মিষ্টি। দই বা ওটমিলের সঙ্গে টপিং হিসেবেও খেতে পারেন। আবার শুধু স্ট্রবেরি খেলেও মিলবে উপকার। এটি নিয়মিত খেলে আপনার শরীর ভেতর থেকেই থাকবে সতেজ।

৪. শসা

সবচেয়ে পানি সমৃদ্ধ সবজির মধ্যে একটি হলো শসা। এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। এটি কাঁচা খাওয়া যেতে পারে, সালাদে দেওয়া যেতে পারে অথবা স্মুদিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শসার উচ্চ পটাসিয়াম উপাদান স্বাস্থ্যকর রক্তচাপও বজায় রাখে।

৫. টমেটো

রসালো টমেটো আমাদের খাবারে হাইড্রেশন এবং লাইকোপিন যোগ করে। কাঁচা খাওয়া হোক, স্যুপে বা

September 26, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জাতীয়জীবনযাপনহাইলাইটস

পূজার সাজে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিলন

by admin September 23, 2025
written by admin

শারদীয় দুর্গোৎসব শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বাঙালির সাংস্কৃতিক আবেগেরও প্রতীক। পূজার দিনগুলোতে তাই নারীদের সাজগোজে থাকে ভিন্ন মাত্রা। তবে এ সাজ কেবল বাহ্যিক নয়, বরং আরাম, আত্মবিশ্বাস আর সৌন্দর্যের এক সুন্দর সমন্বয়।

প্রথম দিনের সহজ সাজ
অষ্টমী বা নবমীর ভিড়ের আগে ষষ্ঠী-সপ্তমীতে সাজ হতে পারে অনেকটাই সহজ-সরল। হালকা রঙের কটন বা হ্যান্ডলুম শাড়ি, সঙ্গে ছোট্ট টিপ আর কানের ছোট দুলই যথেষ্ট। লম্বা খোলা চুল বা সাধারণ বেণীও মানিয়ে যায়। আরামদায়ক স্যান্ডেল পায়ে থাকলেই পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দদায়ক হবে।

অষ্টমীতে ঐতিহ্যের ছোঁয়া
অষ্টমীর অঞ্জলির দিন সাজগোজে থাকে বিশেষ আমেজ। এদিনে লাল-সাদা শাড়ি যেন চিরায়ত নিয়ম। লাল টিপ, লাল চুড়ি আর হালকা গলার হার এনে দেয় পূর্ণতা। চাইলে চোখে হালকা কাজল টেনে ঠোঁটে হালকা লাল বা নিউড লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। ভারী সাজের দরকার নেই, বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুচারু সাজই দিনটিকে উজ্জ্বল করে তোলে।

সন্ধ্যার আড্ডায় আধুনিকতার ছোঁয়া
পূজা মানেই শুধু মন্দির বা পূজামণ্ডপে যাওয়া নয়, সন্ধ্যায় থাকে বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে আড্ডা ও ঘোরাঘুরি। এ সময় চাইলে তাঁতের শাড়ির বদলে ব্যবহার করা যায় কুর্তা-পালাজো বা লং ড্রেস। গলায় লাইট জুয়েলারি, হাতে হালকা ব্রেসলেট আর খোলা চুলই যথেষ্ট। এতে থাকবে আরাম, আবার আধুনিক ছাপও ফুটে উঠবে।

নবমীর রাতের ঝলক
নবমী রাতের পূজা আর সাংস্কৃতিক আয়োজনে সাজে যুক্ত হয় একটু গ্ল্যামার। কাঁচা সিল্ক, টাসার বা শিফনের শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। চাইলে ব্লাউজে ভিন্নতা আনা যায়, যেমন-হালকা এমব্রয়ডারি বা কাটওয়ার্ক। গলায় স্টেটমেন্ট নেকলেস, কানে ঝুমকা, আর ঠোঁটে উজ্জ্বল লিপস্টিক নবমীর সাজকে করে তুলবে দ্যুতিময়।

আরামের পাশাপাশি যত্ন
উৎসবের কয়েক দিন প্রচুর হাঁটাহাঁটি করতে হয়। তাই সাজে যতটা গুরুত্ব, ততটাই দেওয়া উচিত আরামে। হাই হিলের বদলে ব্লক হিল বা ফ্ল্যাট জুতোই ভালো। আর মেকআপে ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে লাইট বেস ব্যবহার করলে গরমে ঘামলেও মুখ সতেজ থাকবে।

চুল ও চুলের সাজ
দিনে খোলা চুল ভালো লাগলেও রাতে চাইলে খোপা বা হেয়ারস্টাইল করা যায়। ফুল দিয়ে সাজানো খোপা দুর্গোৎসবের ঐতিহ্যকেই ফুটিয়ে তোলে। চুলে মিনিমাল অ্যাক্সেসরিজও মানানসই।

ছোট্ট ব্যাগ, বড় কাজ
সাজের সঙ্গে মানানসই একটি ছোট্ট ক্লাচ বা স্লিং ব্যাগ হাতে রাখতে ভুলবেন না। এতে প্রয়োজনীয় প্রসাধনী, রুমাল বা ফোন সহজেই রাখা যাবে।

সর্বোপরি পূজা উপলক্ষে নারীদের সাজ শুধু বাহ্যিক রূপ নয়, বরং নিজের ভেতরের আনন্দকে প্রকাশের মাধ্যম। সাজতে হবে নিজের মতো, আরামদায়ক ভঙ্গিতে। ঐতিহ্যের শাড়ি হোক বা আধুনিক কুর্তা, মূল বিষয় হলো আত্মবিশ্বাস। কারণ আত্মবিশ্বাসেই লুকিয়ে আছে আসল সৌন্দর্য।

September 23, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাপনফোকাসবিনোদন

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’ হলেন মিথিলা

by admin September 20, 2025
written by admin

মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫-এর মুকুট জিতেছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার তেজগাঁওয়ের আলোকি মিলনায়তনে জমকালো এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ মিথিলা আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘মিস ইউনিভার্স ইন্টারন্যাশনালের ৭৪তম প্রতিযোগিতার মঞ্চে বাংলাদেশ থেকে লড়বেন। এমন একটি আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব অর্জনের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত মিথিলা।

মিথিলা শুধু একজন মডেল ও অভিনেত্রীই নন, তিনি বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজের জন্যও পরিচিত। ২০২০ সালে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এই খেতাব জিতেছিলেন, তবে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ২০২৫ সালে আবার মুকুট জিতে তিনি ইতিহাস গড়লেন।

মিথিলা এই জয় উৎসর্গ করেন তাঁর মাকে। এ সময় মিথিলা বলেন, ‘আজ আমি যা কিছু, তা আমার মায়ের জন্যই সম্ভব হয়েছে। তিনি সব সময় আমার শক্তি ও অনুপ্রেরণা ছিলেন। এই অর্জন যেমন আমার, তেমনি তাঁরও।’

আগামী নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক আসরকে সামনে রেখে মিথিলা আরও বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। মর্যাদা, সাহস ও সম্মানের সঙ্গে দেশের সুনাম রক্ষার চেষ্টা করব আমি। আপনারা সবাই আমার পাশে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।’

মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পরিচালক মুস্তাফা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিস ইউনিভার্স কেবল একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়, এটি বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস এবং উদ্দেশ্য উদ্‌যাপনের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম। আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশকে এই আসরে তুলে ধরতে পারছি। এটি শুধু তরুণীদের অনুপ্রাণিত করে না, বরং বিশ্বমঞ্চে তাঁদের প্রতিভা ও মনোবল প্রদর্শনের নতুন দ্বার উন্মোচন করে।’

এর আগে ২০১৯ সালে শিরিন শিলা এবং ২০২৪ সালে আনিকা আলম মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ হয়েছিলেন।

September 20, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাপনস্বাস্থ্য

প্রতিদিন সকালে লেবু পানি খেলে কী হয়

by admin September 20, 2025
written by admin

লেবু হলো সবচেয়ে বহুমুখী এবং পুষ্টিকর ফলের মধ্যে একটি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ এর ঔষধি এবং অন্যান্য উপকারিতা পেয়ে আসছে। হজমে সহায়তা করা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা পর্যন্ত- লেবু নানাভাবে উপকার করে। এই উপকারিতাগুলো কাজে লাগানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো লেবু পানি পান করা। আপনি কি জানেন যে, সকালে খালি পেটে লেবু পানি পান করলে তা আপনার সুস্থতার জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে? এক মাস ধরে প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পান করলে কিছু আশ্চর্যজনক উপকারিতা সরাসরি অনুভব করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
সকালে লেবু পানি পান করা বিশেষভাবে কার্যকর হতে পারে। কারণ এটি সারারাত পেট খালি থাকার পরে পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। এক গবেষণা অনুসারে, লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড হজমকারী এনজাইমগুলোকে উদ্দীপিত করে, যা শরীরকে সারাদিন ধরে ভালোভাবে খাবার ভাঙতে সক্ষম করে। এর ফলে পুষ্টির শোষণ উন্নত হয়।

ওজন কমাতে সহায়তা করে
সকালের রুটিনে লেবু পানি রাখলে তা ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকেও সহায়তা করে। লেবুতে থাকা পেকটিন ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং সারা দিন ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে সাইট্রিক অ্যাসিড সকালে বিপাক বৃদ্ধি করে এবং চর্বি ঝরায়। একাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, চিনিযুক্ত পানীয়ের বদলে এটি পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন লেবু পানি পান করলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে সর্দি-কাশির তীব্রতা কমাতে এবং সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে পারে। লেবু পানি দিয়ে দিন শুরু করা বিশেষভাবে কার্যকর হতে পারে, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এবং শরীর যখন সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য থাকে তখন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুবিধা প্রদান করে।

ত্বকের উন্নতি করে
লেবুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। সকালে লেবুর পানি পান করা দিন শুরু করার একটি দুর্দান্ত উপায়, কারণ এটি বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখে। এর ফলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ব্রণ এবং কালো দাগের মতো সমস্যা কমায়। হজম এবং ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে লেবুর পানি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে চাঙা করে।

শরীরকে ক্ষারমুক্ত করে
অম্লীয় প্রকৃতির হওয়া সত্ত্বেও, লেবুর শরীরে ক্ষারীয় প্রভাব রয়েছে। লেবুর পানি পান করলে শরীরের পিএইচ মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ হয়, প্রদাহ কমে এবং স্বাস্থ্য উন্নত হয়। লেবুর পানি দিয়ে দিন শুরু করা কার্যকর, কারণ এটি শুরু থেকেই একটি সুষম অভ্যন্তরীণ পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সারাদিন ধরে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে দেয়।

September 20, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাপনহাইলাইটস

কিডনির জন্য উপকারী ৩ ফল

by admin September 4, 2025
written by admin


আমাদের কিডনি বর্জ্য ফিল্টার করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কিডনির কাজে সহায়তা করে এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে এমন খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে নানা ধরনের ফল।

কিছু ফল কেবল ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ নয়, বরং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ; যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এগুলো কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। কিছু ফল কিডনিতে পাথর প্রতিরোধেও সাহায্য করে, যার ফলে কিডনি সুস্থ রাখা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিডনির জন্য উপকারী ৫টি ফল সম্পর্কে-

আপেল
বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে। আসলেই তাই! আপেল ফাইবার, ভিটামিন সি এবং প্রদাহ-বিরোধী যৌগ সমৃদ্ধ। ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, আপেল কিডনির জন্য উপকারী ফল কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং কম পটাসিয়াম থাকে, যা প্রদাহ কমাতে এবং কিডনিকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আপেল খেলে তা কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে, যা কিডনির ওপর চাপ কমায়।

লাল আঙুর
লাল আঙুর ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে রেসভেরাট্রল, যা কিডনিতে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ২০২৪ সালে ইঁদুরের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘমেয়াদী আঙুর খেলে তা কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ক্ষতির বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করে।

এদিকে, ইঁদুরের ওপর পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঙুর খেলে তা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার কারণে কিডনির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।

ডালিম
ডালিম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং পলিফেনলের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা কিডনি টিস্যুতে প্রদাহ এবং জারণজনিত ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লংজিভিটিতে প্রকাশিত ২০২৩ সালের একটি গবেষণা দেখায় যে, ডালিমের রস দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে কিডনিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ডালিম রক্ত ​​প্রবাহ এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা কিডনির কার্যকারিতার জন্য উপকারী।

September 4, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জাতীয়জীবনযাপনহাইলাইটস

ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ৩৯ হাজার ৯৩২ জন

by admin July 31, 2025
written by admin

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবার মোট ভোটার ৩৯,৯৩২ জন। এরমধ্যে সর্বাধিক ভোটার রোকেয়া হলে ৫,৬৭৬ জন।

বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী এ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন।

এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে খসড়া ভোটার তালিকা হলগুলোর নোটিশ বোর্ডে এরই মধ্যে টাঙানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও ইনস্টিটিউটেও তালিকা পাঠানো হয়েছে।

ভোটারদের মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ২০,৯০৪ জন এবং ছাত্রী ১৯,০২৮ জন। মোট ভোটারের প্রায় ৫২% ছাত্র এবং ৪৭% ছাত্রী।

ছাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রোকেয়া হলে ৫,৬৭৬ জন। এরপর রয়েছে কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪,৪৯৫ জন, শামসুন নাহার হলে ৪,০৯৮ জন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২,৬৫১ জন এবং বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে ২,১০৮ জন।

ছাত্রদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার জগন্নাথ হলে ২,২৫৪ জন। এরপর শহীদুল্লাহ হলে ২,০১৭ জন, বিজয় একাত্তর হলে ২,০১৩ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১,৯৬১ জন এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১,৭৩৫ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ১,৭৭৯ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১,৬০০ জন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১,৪৯৫ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ১,৪৮০ জন, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ১,৩৯৪ জন, অমর একুশে হলে ১,৩১৯ জন, কবি জসীমউদদীন হলে ১,২৯৮ জন এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৫৫৯ জন।

তফসিল অনুযায়ী, ভোটার তালিকা নিয়ে কেউ আপত্তি জানাতে চাইলে ৬ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে তা জমা দিতে হবে। আপত্তি যাচাই-বাছাই শেষে ১১ আগস্ট বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া, ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ চলবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২০ আগস্ট এবং প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ আগস্ট। প্রার্থীরা ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৬ আগস্ট এবং ভোটগ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর।

July 31, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাপনবাণিজ্যহাইলাইটস

মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধ, বিধ্বস্ত ভবনের তিন পাশে উঁচু বেড়া

by admin July 23, 2025
written by admin

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। কেবল স্কুলের হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের গেট থেকে প্রবেশের এবং বের হওয়ার অনুমতি আছে। অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সরেজমিনে আজ বুধবার সকালে দেখা যায়, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান ফটকের নিরাপত্তা কর্মীদের চারজন ভেতরে বসে রয়েছেন। ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ভেতরে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী গেট ধরে ধাক্কাধাক্কি করে। তবে তাদের কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষ যারা এসেছে তাদেরও ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুমতি নেই বলে জানিয়ে দেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

July 23, 2025 0 comments
0 FacebookTwitterPinterestEmail
Newer Posts
Older Posts

Recent Posts

  • বই পড়ার অভ্যাসে তলানিতে বাংলাদেশ, বছরে পড়ে ৩টিরও কম
  • দুবাইয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন জাদুঘর, ভাসবে পানির ওপর
  • কেন মশা আপনাকেই কামড়ায়
  • পানিশূন্যতা ও হৃদরোগ এড়াতে যে ৫ খাবার খাবেন
  • পূজার সাজে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিলন

Recent Comments

No comments to show.
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
দৈনিক বাংলার কন্ঠ
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ভিডিও
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Dainik banglar Khantha ২০২৫
Sign In

Keep me signed in until I sign out

Forgot your password?

Password Recovery

A new password will be emailed to you.

Have received a new password? Login here